বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৪২ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
রিপন কান্তি গুণ,নেত্রকোনা:
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলাধীন আসমা ইউনিয়নে ভাই-বোনের মধ্যে জমি সংক্রান্ত ঝামেলার এক পর্যায়ে ভাই নিজ মেয়েকে দিয়ে ভাগিনার বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। আদালতে মিথ্যা ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসী।আজ (১৪ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার সকালে বারহাট্টা প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে রাবিয়া আক্তারের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩৩) এর উপর তার ভাই শাহজাহান ও ভাতিজি মালা আক্তারের করা মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে এ মানববন্ধন করেন।মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন- এলাকার বাসিন্দা আঃ বচির, সার্জেন্ট আবদুল মান্নান, কাঞ্চন মিয়া, আমিনুল ইসলাম সুহেল, খোকন মিয়া, বাবুল মিয়া প্রমুখ।বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার দিন উপজেলার আসমা ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়া গ্রামের শাহজাহানের মেয়ে মালা আক্তারের (৩১) সাথে একই গ্রামের সুনু মিয়ার ছেলে (শাহজাহান এর ভাগিনা) আনোয়ার হোসেনের (৩৩) জমি সংক্রান্ত ঝামেলায় কথা কাটাকাটি হয়। দুই পরিবারে যেহেতু জমি সংক্রান্ত ঝামেলা রয়েছে তাই প্রায়ই তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কিন্তু ঘটনার ২ দিন পর মালা আক্তার বাদি হয়ে আনোয়ারকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। অথচ এমন কোন ঘটনাই হয়নি।তারা আরও বলেন, মালা আক্তার একজন চক্রান্তকারী মেয়ে। তার কাজই হল কাউকে বিপদে ফেলে সুযোগ সুবিধা আদায় করে নেওয়া। তাই আমরা দ্রুত এই মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।মানববন্ধন চলাকালে ভুক্তভোগী রাবিয়া আক্তার বলেন, আমার ভাই আমার ওয়ারিশের সম্পদ টুকুও বিক্রি করে দিয়েছে। আমার সন্তানদের থাকার জন্য এখন শুধু বাড়ির জায়গাটুকুই আছে। ভাই এখন বলে, আমি এই জমির উপর নি-দাবী দিতে। তার প্রস্তাবে আমি রাজি না হওয়ায় আমার সহজসরল ছেলেটার উপর ধর্ষণ মামলা দিয়েছে। আমি গরীব অসহায় মানুষ, আমি এই মিথ্যা মামলার বিচার চাই।গুমুরিয়া গ্রামের আঃ বছির বলেন, শাহজাহান আমার ফুফাতো ভাই, তাদের মধ্যে জমি সংক্রান্ত ঝামেলা ছিল। সে মামলায় জয়ী হওয়ার জন্য তার মেয়েকে দিয়ে এই ঘৃণিত কাজটি করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।এলাকার ব্যবসায়ী কাঞ্চন মিয়া বলেন, আমি নিজে গিয়ে ওই মেয়েকে বুঝিয়েছি, কিন্তু উত্তরে সে বলছে তাকে ৫ লক্ষ টাকা ও ৫ শতাংশ জমি লিখে দিলে আপোষ হবে।সার্জেন্ট আবদুল মান্নান অবঃ বলেন, আমিও কয়েকদিন যাবৎ এদেরকে বুঝিয়েছি। মালা আক্তার মোটামুটি রাজি হলেও তার বাবা শাহজাহান টাকা আর জমি ছাড়া আপোষে রাজি হচ্ছে না।এ অভিযোগের বিষয়ে মামলার বাদি মালা আক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি দাবি করেন, বিবাদী আনোয়ার তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেছে। আনোয়ারের গালিগালাজের জন্য ঘরে টেকা যায় না। আপনি যে মামলা করেছেন এমন কোন ঘটনা আপনার সাথে হয়েছে কিনা? প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে বাদি এড়িয়ে যান।স্থানীয় সূত্রে জানা যায় শাহজাহান (৬৫) আসমা গ্রামের দিদার আলীর ছেলে। তার মেয়ে মালা আক্তার স্বামীর সংসার রেখে ৬ বছর জর্ডানে ছিল। সেখান থেকে এসে আর স্বামীর সংসার করেনি। শাহজাহান এলাকার বিভিন্ন মানুষকে এই মেয়ে দিয়ে মামলার ভয় দেখায়।